বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ০৬:৫০ পূর্বাহ্ন

সর্ববৃহৎ নান্দনিক ইসলামিক স্থাপনা ‘কোরআনিক পার্ক’

সর্ববৃহৎ নান্দনিক ইসলামিক স্থাপনা ‘কোরআনিক পার্ক’

জুনায়েদ হাবীব: বিশ্বের সব আধুনিক স্থাপনা নির্মাণের মাধ্যমে বারবার আলোচনায় আসছিল দক্ষিণ এশিয়ার দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত। বছর খানেক আগে বিশ্বের সর্বপ্রথম কোরআনিক পার্ক নামক বৈচিত্র্যময় এক কোরআন উদ্যান নির্মাণ করেছিল এ দেশটি। তবে এবার কোরআনিক পার্ককে পিছে ফেলে আরও ব্যতিক্রমী দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা নির্মাণ করতে যাচ্ছে সৌদি আরব। মহাগ্রন্থ আল কোরআন ও ইসলামের ঐতিহাসিক বর্ণনায় সাজানো হবে এ উদ্যানটি।
রাসুল (সা.) এর নগর মদিনা মুনাওয়ারায় ‘নোবেল কোরআন ওয়েসিস’ নামের এ কোরআন উদ্যানটি বিশ্বে সাড়া ফেলবে বলে ধারণা করছে কর্তৃপক্ষ। মদিনা শহরের প্রিন্স মোহাম্মদ বিন আবদুল আজিজ বিমানবন্দরের কাছে অবস্থিত ‘নোবেল কোরআন ওয়েসিস’ প্রায় দুই লাখ বর্গকিলোমিটার স্থানে বিস্তৃত বিশাল এলাকাজুড়ে গড়ে তোলা হবে এ আধুনিক স্থাপনাকে। জানা যায়, ২০১৪ সালে সৌদি সরকার এমন একটি ইসলামি উদ্যান নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয়। পরে পুরো বিশ্বের সব আর্কিটেক্ট প্রতিষ্ঠানের কাছে উদ্যানটির নির্মাণশৈলীর নকশা চেয়েছিল সৌদি আরব। অবশেষে অসংখ্য নির্মাণশৈলীর নকশা দেখে নির্বাচিত করা হয় স্প্যানিশ স্থপতি রিকার্ডো বফিল প্রতিষ্ঠানকে। সৌদির পর্যটন ও জাতীয় ঐতিহ্য পরিষদের মহাপরিচালক অধ্যাপক সুলতান বিন সালমান বিন আবদুল আজিজ ২০১৭ সালে রাষ্ট্রীয়ভাবে কোরআন উদ্যান প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে অনুমোদনের আদেশ দিয়েছিলেন। ইতোমধ্যেই এ উদ্যানটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে।
দৃষ্টিনন্দন সব নির্মাণশৈলীর মাধ্যমে উদ্যানটি সেজে উঠবে অপার সৌন্দর্যে। কোরআন উদ্যানের মূল ফটক দিয়ে প্রবেশ করতেই দেখা মিলবে ‘গেস্ট রিসিপশন হল’Ñযেখানে থাকবে পবিত্র কোরআনুল কারিমের অবতীর্ণ হওয়ার স্থানগুলোর প্রতিকৃতি, সভ্যতা ও সংস্কৃতিমূলক নিদর্শন। গেস্ট রিসিপশন হলের পাশে থাকবে ‘কোরআনিক হল’ সেখানে থাকবে আগের যুগের খ্যাতিমান কারি ও বর্তমান যুগের শ্রেষ্ঠ ইসলামিক হাফেজদের কোরআন পঠনের বৈশিষ্ট্য এবং ধরন দর্শনার্থীদের জন্য নান্দনিকভাবে উপস্থাপন। আরও থাকছে মুসলিম ইতিহাসের সব বৈচিত্র্যময় দুর্লভ বস্তুর সমাহারে করা বিভিন্ন প্রতিকৃতি।
হলটির আরেকটু সামনে এগুতেই চোখে পড়বে ‘ইসলামিক স্টোরিজ হল’Ñযাতে থাকবে বিশালাকার এলইডি স্ক্রিন, সেটিতে দর্শনার্থীদের দেখানো হবে পবিত্র কোরআনে বর্ণিত ১২টি ঐতিহাসিক গল্প।
এভাবে সুদৃশ্য বিশাল এ উদ্যানজুড়ে আরও থাকবে মুসলিম আর্টস হল, কোরআন অ্যান্ড সায়েন্স হল, মিউজিয়াম হল, কিডস জোন এবং আধুনিক বৃহৎ গ্রন্থাগার, খেজুর বৃক্ষে ঘেরা কৃত্রিম সব জলাধার, সেমিনার হল, বিস্ময়কর সব ফুলের সৌরভে মাতবে পুরো এলাকা। রাতের আঁধারে অত্যাধুনিক থ্রিডি লাইটের চোখ ধাঁধানো আলেতে অপূর্ব সৌন্দর্যে সেজে উঠবে এ কোরআন উদ্যান। পার্কে আগত দর্শনার্থীদরে নামাজ আদয়ের জন্য চার শতাধিক মুসল্লি ধারণক্ষমতা সম্পন্ন একটি মসজিদ নির্মাণ করা হবে।
‘নোবেল কোরআন ওয়েসিস’ উদ্যানটির উদ্বোধন কবে হবে তা নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। বিশ্বের বৃহৎ এ প্রকল্পব্যয় কত ধরা হয়েছে তাও জানা জায়নি। তবে এটি বিশ্বের ইসলামিক নানা স্থাপনার মধ্যে সর্ববৃহৎ হিসেবে নজির রাখবে বলে জানাচ্ছেন উদ্যান নির্মাণকারী সংশ্লিষ্ট আর্কিটেক্ট প্রতিষ্ঠান রিকার্ডো বফিল।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877